চুয়াডাঙ্গাতে আড়াই কেজি অবৈধ স্বর্ণালংকার উদ্ধার

প্রতিদিনের মতো আজও অফিসে বসে কাজ করছিলাম। একইভাবে প্রতিদিনের ন্যায় সম্মানিত পুলিশ সুপার মহোদয় থানা এলাকার বিভিন্ন খোজখবর নিচ্ছিলেন। হঠাৎ সম্মানিত পুলিশ সুপার মহোদয় একটি প্রাইভেট কার আটকানোর খবর দিলেন। আমি তৎক্ষণাৎ সম্মানিত পুলিশ সুপার মহোদয়ের পরিকল্পনা ও নির্দেশনা মোতাবেক আমার থানার সকল অফিসার ফোর্স নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়ি।
রাস্তায় এসে অফিসারদের দ্রুত শর্ট ব্রিফ দিয়ে চারটি টিমে ভাগ হয়ে আমরা থানা হতে চার দিকে ছড়িয়ে পড়ি। অনুমান ১৪.৪৫ ঘটিকায় চুয়াডাঙ্গা থানাধীন একাডেমি মোড় পার হয়ে আমরা উক্ত প্রাইভেট কারটি সনাক্ত করি।
আমরা আমাদের পেশা ও দেশমাতৃকার প্রতি সর্বোচ্চ সম্মানবোধ এবং দ্বায়িত্ব নিয়ে বেপরোয়া ও উচ্চ গতিতে চলমান গাড়িটিকে ধাওয়া করি। ততক্ষণে দূরদর্শী বিচক্ষণ পুলিশ সুপার মহোদয় আলমডাঙ্গা থানা পুলিশকে অবগত করেন। চুয়াডাঙ্গা-কুষ্টিয়া রোডে আলমডাঙ্গা থানাধীন বন্ডবিল গেইট নামক স্থানে বিকাল ১৫.৩০ ঘটিকায় ওসি আলমডাঙ্গা মোঃ আলমগীর কবীর অসীম সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে উক্ত প্রাইভেট কারটির সামনে এসে গাড়িটি থামান। আমরা চুয়াডাঙ্গা থানা পুলিশ দ্রুত যথাযথভাবে গাড়িটি ঘিরে ফেলি যার দরুণ কোন আসামী পালাতে সক্ষম হয় নাই।
আমি, ওসি আলমডাঙ্গা মোঃ আলমগীর কবীর, ইউএনও আলমডাঙ্গা এবং চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ ও আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ যথাযথভাবে উক্ত প্রাইভেট কারের চালক কাম মালিক ১)মোঃ বাপ্পি(৩০), পিতা- নুর ইসলাম, সং- শ্যামপুর, থানা- দর্শনা, এবং গাড়িতে থাকা অপর দুইজন সহযোগী যথাক্রমে ২)সম্রাট হোসেন(২১), পিতা- রিপন হোসেন, সাং- চুয়াডাঙ্গা বনানীপাড়া, উভয় জেলা- চুয়াডাঙ্গা, ৩)মোঃ সুমন হাওলাদার (৩৫), পিতা- বাবু হাওলাদার, সাং- জালালপুর, থানা- মাদারীপুর সদর, জেলা- মাদারীপুরদের পৃথক পৃথক ভাবে জিজ্ঞাসাবাদে তাদের প্রদত্ত তথ্য এবং সর্বোপরি গাড়ি তল্লাশি করে ড্রাইভারের সিটের পেছনে বাঁশপাতা রং র মোটা কাগজ স্কচটেপ দ্বারা মোড়ানো ০৬(ছয়)টি বান্ডেল প্রতিটি বান্ডেলের ভিতর স্বর্ণের বালা, নেকলেছ, আংটি, কানের দুল ইত্যাদি বিভিন্ন আইটেমের স্বর্ণালঙ্কার যাহা স্থানীয় বড় স্বর্ণ ব্যবসায়ীর মাধ্যমে ওজন করে ২.৫৮৫ (দুই কেজি পাচশত পচাশি গ্রাম) কেজি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত স্বর্ণালংকার সম্পর্কে ধৃত আসামীদের পৃথক পৃথকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে তাদের গাড়িতে বহন করা এই বিপুল পরিমান এই স্বর্ণের অলংকার এর বৈধ কোন কাগজপত্র দেখাতে পারে নাই এবং কোন সদুত্তর দিতে পারে নাই। জিজ্ঞাসাবাদে আসামীদের প্রাথমিক তথ্যানুযায়ী জানা যায় আসামীরা একটি আন্তঃ জেলা স্বর্ণপাচারকারী দলের সক্রিয় সদস্য। এই স্বর্ণালংকার পাচারের উদ্দেশ্যে আসামীরা ভারতীয় সীমান্তবর্তী দর্শনা এলাকা থেকে বিনা শুল্কে অবৈধভবে আমদানি করে পাচার করছিল।
আমি অফিসার ইনচার্জ চুয়াডাঙ্গ থানা এবং আমার থানার সকল অফিসার ফোর্স আমাদের পেশা ও দেশমাতৃকার প্রতি সর্বোচ্চ দায়িত্ববোধ ও সম্মানবোধ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি এবং করবো। আপনার যেকোনো অভিযোগ জানাতে বা আইনী পরামর্শের জন্য আমাদের জানান। আমরা ২৪/৭ প্রস্তুত।
চলুন আইন মানি এবং সৎ উপায়ে বাচিঁ।
আপনার মতামত লিখুন: