প্রাইভেটকারে চালকের রহস্যজনক মৃত্যু

বগুড়ায় ফেরদৌস আলী (৪২) নামে এক প্রাইভেটকার চালকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২৮ আগস্ট) রাত সোয়া ৯টার দিকে শহরের বকসীবাজার মোড়ে লিটনের গ্যারেজে থাকা প্রাইভেটকারের ভেতর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মৃত ফেরদৌস আলী বগুড়ার গাবতলী উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের মন্ডলপাড়া এলাকার মোস্তফার ছেলে।
ওই প্রাইভেটকারের (ঢাকা মেট্রো-গ ১৪-৫২৯৪) মালিক জিয়া আনছারী লিটন। তিনি শহরের মালতীনগর বকসীবাজার এলাকার মোখলেছার রহমানের ছেলে। লিটন পেশায় একজন ব্যাংকার। তার স্ত্রী ডা. নাদিয়া ইসলাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের চিকিৎসক।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বকসীবাজার এলাকার লিটনের গ্যারেজ ঘর থেকে দুর্গন্ধ বের হলে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ সাড়ে ৭টার দিকে ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হয়। গ্যারেজের শাটার খুলে প্রাইভেটকারের চালক ফেরদৌসকে গাড়ির ভেতরে মৃত অবস্থায় পায় পুলিশ। এরপর রাত সাড়ে ৯টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
প্রাইভেটকারের মালিক জিয়া আনছারী লিটনের বাসার কেয়ারটেকার বেলাল হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) রাত সাড়ে ১২টার দিকে ফেরদৌস গাড়ি নিয়ে ব্যাংকার লিটন ও তার স্ত্রীকে ঢাকাগামী বাসে তুলে দিতে সাতমাথায় যান। এরপর ফেরদৌস গ্যারেজে গাড়ি তুলে রেখে চলে যাওয়ার কথা। ব্যাংকার লিটন বাড়িতে না থাকায় শুক্রবার তিনি আসেননি। আজ সন্ধ্যায় এসে দেখেন গ্যারেজের শাটারে তালা দেওয়া নেই। শাটার তুলে দেখেন গাড়ির ভেতরে চালক ফেরদৌস মরে আছে। এরপর সদর থানা পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে রাতে মরদেহ উদ্ধার করে। বর্তমানে লিটন ঢাকায় অবস্থান করছেন বলেও জানান তিনি।
মৃত ফেরদৌসের বোন মাসুদা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সর্বশেষ ফেরদৌসের সঙ্গে তাদের পরিবারের যোগাযোগ হয়েছে। এরপর হয়নি। ফেরদৌস প্রায় ৭/৮ বছর ধরে এই মালিকের গাড়ি চালাচ্ছে। করোনার কারণে সপ্তাহে দুই থেকে তিনদিন গাড়ি চালানোর জন্য আসতো বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ফয়সাল মাহমুদ জানান, প্রাইভেটকার চালক ফেরদৌসের মরদেহ দুদিন ধরে গাড়ির মধ্যে ছিল। মরদেহ উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে মারা যাওয়ার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।