পরকীয়া সারা না পেয়ে জীবননগরে গৃহবধুর ঘরে আগুন দিল বিক্ষুব্ধ প্রেমিক
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার মারুফদহ গ্রামে পরস্ত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে সাড়া না পাওয়ায় বিক্ষুব্ধ প্রেমিক রাতের আঁধারে ওই গৃহবধুর ঘরে আগুন দিয়ে তাকে পুঁড়িয়ে মারার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। ঘটনাটি গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সংঘটিত হয়েছে।
এলাকাবাসী সুত্র জানায়, জীবননগর উপজেলা রায়পুর ইউনিয়নের মারুফদহ গ্রামের মুনতাজ হোসেনের ছেলে চার সন্তানের জনক ভুট্টো মিয়ার (৫০) একই গ্রামের স্কুলপাড়ার সোহেল রানার স্ত্রী অন্তরা খাতুনকে পরকীয়া প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। কিন্ত গৃহবধু অন্তরা খাতুন(৩০) বার বারই তা প্রত্যাখান করে।
এক পর্যায়ে ভুট্টো মিয়া গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে পাটখড়িতে আগুন ধরিয়ে জানালা দিয়ে গৃহবধুর ঘরে নিক্ষেপ করলে গৃহবধূ অন্তরা ও একই ঘরে থাকা ভাসুর কন্যা ঘটনাটি টের পেয়ে তারা ঘরের বাইরে বের হয়ে আর্তচিৎকারে বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের পাশাপাশি প্রতিবেশীরা ছুটে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার আগেই নগদ এক লাখ টাকাসহ আড়াই লাখ টাকার মালামাল পুঁড়ে যায় বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শী নিজাম উদ্দিন, হৃদয় ও হাসান আলী সরকার।
গৃহবধু অন্তরা খাতুন বলেন, আমার স্বামী বাহিরে চাকুরির সুবাদে বাইরে থাকেন। আমি বাড়ীতে শ্বশুর-শ্বাশুড়িদের সাথেই থাকি। আর সুযোগে ভুট্টো আসাকে দীর্ঘদিন ধরে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। সে আমাকে এমনও বলে তার প্রস্তাবে রাজি না হলে আমাকে মেরে ফেলবে। আমি মান সন্মানের ভয়ে ব্যাপারটি কাউকে না জানিয়ে সাবধানে চলতে থাকি। ঘটনার দিন রাতে ভুট্টো আমাকে মেরে ফেলতেই আসার ঘরে আগুন দিয়েছিল।
এদিকে ঘটনার পর অভিযুক্ত ভুট্টো মিয়া আত্মগোপন করায় এব্যাপারে তার মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড সদস্য রওশন আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ভুট্টোর স্বভাব চরিত্র ভাল নয়। ঘটনার পর পরই ভুট্টো পালিয়ে গেছেন।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম বলেন,ঘটনার ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোহ পাওয়া গেছে,তদন্ত পুর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।