করোনা আতঙ্ক: বাংলাদেশি বহনকারী বিমান অবতরণে বাঁধা ইতালির

অনলাইন ডেস্ক:
ইতালির রোমের ফিউমিসিনো বিমানবন্দরে অবতরণকারী কাতার এয়ারওয়েজের একটি বিমান থেকে ১২৫ বাংলাদেশিকে যাত্রীকে নামতে দেয়া হচ্ছে না। করোনা আতঙ্কে এমন সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছে ইতালি বিমান কর্তৃপক্ষ।
বুধবার ইতালির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম আইএল মেসেজারো এই তথ্য দিয়েছে।
গণমাধ্যমটির খবরে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশীদের বহনকারী কাতার এয়ারওয়েজের বিমানটি দোহা থেকে ইতালির ফিউমিসিনো বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বর্তমানে বিমানবন্দরের পাঁচ নম্বর টার্মিনালে রয়েছে এটি।
এর আগে অন্য একটি ফ্লাইটে ২২৫ জন বাংলাদেশি ইতালিতে পৌঁছানোর পর পরীক্ষা করে ৩৬ জনের করোনাভাইরাস পজিটিভ আসে। এরপর বাংলাদেশের সঙ্গে বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয় ইতালি।
এদিকে কাতার এয়ারওয়েজ কর্তৃপক্ষ বলছে, বিমানটি ঢাকা থেকে রোমে আসেনি। ফলে বাংলাদেশি যাত্রীদের বিমান থেকে নামতে দেয়া উচিত।
ইতালির সরকার এবং ইন্যাকের বিমান পরিবহন সংক্রান্ত সব ধরনের বিধি-বিধান সতর্কতার সঙ্গে অনুসরণ করে এ ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়েছে বলে দাবি করে বিমান সংস্থাটি।
কিন্তু ইতালির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, ফ্লাইটটির ১২৫ বাংলাদেশি আরোহী ইতালিতে প্রবেশ করতে পারবেন না। এমনকি বিমান থেকেও তারা নামতে পারবেন না। শুধু জরুরি মেডিকেল সেবার দরকার হলে বিমান থেকে নামার অনুমতি পাবেন তারা।
এদিকে ফ্লাইটটি ফিউমিসিনো বিমানবন্দরে অবতরণের পর বিমান থেকে কেউই নামতে পারবেন না বলে পাইলট ঘোষণা দিলে সেখানে উত্তেজনা তৈরি হয়। এতে বাংলাদেশি যাত্রীরা প্রতিবাদ করা শুরু করেন।
এর মধ্যে একজন নারী অসুস্থ হয়েও পড়েছেন বলে জানা যায়। জরুরি চিকিৎসা সেবার জন্য তাকে বিমান থেকে বের হওয়ার অনুমতি দিতে কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়।
বাংলাদেশিদের নামতে দেয়া না হলেও ফ্লাইটটিতে থাকা অন্যান্য দেশের ৮০ যাত্রীকে নামার অনুমতি মিলেছে। বিমানবন্দরে তাদের নমুনা পরীক্ষা শেষে সবাইকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হবে।
কাতার এয়ারওয়েজের ওই ফ্লাইটেই বাংলাদেশি যাত্রীদের রোমের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় দোহায় ফেরত পাঠানো হবে, কর্তৃপক্ষ এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে।
ইতালির শীর্ষ জাতীয় পত্রিকা দৈনিক ইল মেসসাজ্জেরো’র প্রধান খবরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ থেকে ভুয়া করোনা সার্টিফিকেট নিয়ে ইতালিতে ফেরত যাওয়াদের নিয়ে।
এর মধ্যে ইতালির কেন্দ্রীয় অঞ্চল লাৎসিওর বাংলাদেশি অভিবাসীদের ব্যাপক পরীক্ষার আওতায় আনা হয়েছে। ইতালির রাজধানী রোম একইসঙ্গে এই অঞ্চলটিরও রাজধানী।
লাৎসি অঞ্চলে করোনা মোকবিলায় কর্তব্যরতরা ধারণা করছেন, গত কয়েক সপ্তাহে অন্তত ৬০০ কোভিড-১৯ রোগী ইতালিতে এসেছেন। যাদের অধিকাংশই বাংলাদেশ থেকে করোনা নিয়ে এসেছেন বলে দেশটিতে দাবি।
প্রতিবেদনটিতে ঢাকায় করোনা সার্টিফিকেট জালিয়াতির চিত্রও উঠে আসে। এতে বলা হয়, ফ্লাইটে চড়তে ঢাকায় সাড়ে তিন হাজার থেকে পাঁচ হাজারের মধ্যে ভুয়া স্বাস্থ্যসনদ বিক্রি হচ্ছে।