হাট কাঁপাতে আসছে ‘খোকা বাবু’!

খোকা বাবু খুবই শান্তশিষ্ট একটি ষাড় গরু। গরুটি নাগরপুরের নঙ্গীনা বাড়ির আবুল কাশেম মিয়ার আদর যত্নে পালিত গরু। যার ওজন প্রায় ২৭ মণ (প্রায় ১ হাজার ১৬ কেজি)। খুবই শান্ত, রোগ মুক্ত এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকি নেই খোকা বাবুর। গরুর মালিক এই গরুটির দাম হাকাচ্ছেন ১২ লাখ।
প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে মানুষ নাগরপুরের নঙ্গিনাবাড়ির কাশেমের বাড়িতে এসে খোকাবাবুকে দেখে যান।
গরু পালনের বিষয়ে খামারি কাশেম বলেন, গরুর ফিট খাবার খাওয়ানোর সাধ্য আমার নেই। তাই নাগরপুর উপজেলার প্রাণী সম্পদ দপ্তরের সাথে যোগাযোগ করি। তারা আমাকে বলেন, আপনি গরুর ওজন এবং প্রয়োজনের ভিত্তিতে প্রাকৃতিক (ব্যালেন্সড) সুষম খাবার খাওয়ালে অর্থ ও ঝুঁকি দুইই কমবে এবং নিরাপদ মাংস উৎপাদিত হবে।
খোকা বাবুর দামের প্রত্যাশায় কাশেম আরো বলেন, বাজার বরাবর বিক্রি করতে হবে। বাজারে ক্রেতা ও গরুর সরবরাহের উপর নির্ভরশীল তবে আমি ১২ লাখ টাকা চাচ্ছি। যদি পরিশ্রমের সঠিক মূল্য পাই তবে অবশ্যই আগামীকে চেষ্টা করব আরো ভাল মানের গরু তৈরি করার।
খোকা বাবুর খাদ্য তালিকার মধ্যে রয়েছে, বিভিন্ন ধরনের সবুজ ঘাস, গাছের পাতা, খর, ভূষি, ভুট্টা ভাঙা, সরিষার খৈল, নালি, চাউলের কুড়া, লবন, পরিমান মত পানি। নিয়মিত গোসল করানো, পরিস্কার ঘরে রাখা, বাবুর ঘরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রনে রাখা, নিয়মিত হাটানো, রুটিন অনুযায়ী ভ্যাকসিন দেওয়া ও কৃমির ঔষধ খাওয়ানো। আজ খোকাবাবু ১ টন। খোকাবাবুকে মোটা তাজা করার ব্যাপারে কোন প্রকার ঔষধ ও ইনজেকশন ব্যবহার করা হয়নি বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণী সম্পদ সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আশিক সালেহীন বলেন, গরুটি সম্পূর্ণ দেশীয় খাবার খাইয়ে লালন পালন করা হয়েছে। গরুটির জাত হলো ফিজিয়াম। এ জাতের গরু আমাদের দেশে এখন খামারিরা পালন করছে। আমার জানা মতে গরুটি নাগরপুর উপজেলায় সব চেয়ে বড়।