এবছর উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ পরীক্ষায় ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৬৮৯ জনের কেউই ফেল করবে না। তবু কোন উচ্ছ্বাস দেখবার সুযোগ হবে না।
বুধবারই জানা গেছে, এবার এইচএসসি পরীক্ষা হচ্ছে না। তাতে সিদ্ধান্তহীনতার সংকট কেটেছে। কিন্তু উদ্বেগ রয়েই গেছে। বাড়বে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি প্রতিযোগীতা, সেই চিন্তা তো আছেই। তবে সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তায় আছেন বিভাগ পরিবর্তনকারীরা। এখনও জানা নেই, বিজ্ঞানের কোন বিষয়ের সঙ্গে মানবিক অথবা বাণিজ্যের কোন বিষয় সমন্বয় করা হবে।
বিভাগ পরিবর্তন করা শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্যের বিষয় ভিত্তিক সমন্বয় করাটা বড় চ্যালেঞ্জ। সেই সঙ্গে যাদের বোর্ড পরিবর্তন হয়েছে, তাদের বেলায়ও বাড়তি চিন্তাভাবনা করতে হচ্ছে কমিটিকে।
মাদ্রাসা ও কারিগরি থেকে এসএসসি সমমান পরীক্ষা পাস করে সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের আওতায় আসা শিক্ষার্থীর সংখ্যাও লাখখানেক। তাদের ব্যাপারেও আলাদা মূল্যায়নের আলাদা কৌশল বের করতে হবে পরামর্শক কমিটিকে।
এইচএএসসির ফল মূল্যায়ন কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, অনেক ধরণের পার্থক্যই এখানে আছে। কোন পরীক্ষার বিষয়ের সাথে আমরা অন্য পরীক্ষার বিষয়কে মূল্যায়ন করবো তার জন্য বিষয়গুলোর একটি ম্যাপিং করতে হবে। আমাদের কারিগরি এবং মাদ্রাসা থেকে শিক্ষার্থীরা সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে এসেছে। এছাড়া উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও শিক্ষার্থীরা এসেছে। প্রতিটা কেইস বাই কেইস আমরা পরীক্ষা করবো।
তবে এরপরেও যদি, কোন শিক্ষার্থীর ফল নিয়ে অসন্তোষ থাকে, তারা যেন পরের বছর মানোন্নয়ন পরীক্ষা দিতে পারে, সেই সুপারিশও করবে কমিটি। অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, পরীক্ষার্থীরা যদি আমাদের এই রেজাল্টে সন্তুষ্ট না হয়,তাহলে তারা পরের বছর পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ থাকছে। এটা তাদের অধিকার।
নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে প্রতিবেদন এবং ঐ মাসেই ফল প্রকাশ করতে চায় পরামর্শক কমিটি।