অভিশপ্ত বেকারত্ব জয় করার উদাহরণ শারমীন…

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিয়ের পর শারমীন দেখতে পান তার স্বামীর তেমন রোজগার নেই। স্ত্রীর নূন্যতম চাহিদাও তিনি পুরন করতে পারছেন না। এরই মধ্যে শারমীনের মুখ ভর্তি দেখা দেয় ব্রণ। স্বামী বাজার থেকে কিছু ব্রণ দূরীকরণ সস্তা ক্রীম কিনে আনেন। তা ব্যবহার করে ত্বকের অবস্থা আরও খারাপ হয়ে যায়। ব্রণে ভর্তি হয়ে যায় তার পুরো মুখমন্ডল।
শারমীন একটি মাধ্যমে ঢাকার একজন ইমপোর্টারের সাথে যোগাযোগ করেন তিনি। সেখান থেকে ইতালীর তৈরী একটি পণ্য সংগ্রহ করেন। সেই পণ্যটি অল্প কিছুদিনের মধ্যেই শারমীনকে অবাক করে দিয়ে মুখের সমস্ত ব্রণকে উধাও করে দেয়।
মুখের ব্রণ সারলেও সংসারের অভাব তখন পিষে মারছিল শারমীনকে। এ সময় ব্রণ দূরীকরণ বিদেশী ক্রীমের কৌটাটা তার মাথায় একটা বুদ্ধি এনে দেয়। অসংখ্য মেয়ের মুখের ব্রণ দূর করে দিবেন তিনি। বিনিময়ে হবেন স্বাবলম্বী।
যেমন চিন্তা তেমন কাজ। শারমীন আবারও ঢাকার সেই ইমপোর্টারের সাথে দেখা করেন। বেশকিছু প্রডাক্ট নিয়ে আসেন। আশেপাশের কিছু মেয়েকে সেগুলো দেন। চমকপ্রদ ফল পাওয়া যায় তাতে। শারমীন আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠেন।
এরপর তিনি অনলাইনের কয়েকটি পেইজে জড়িয়ে পড়েন শারমীন। কাস্টমার বাড়তে থাকে, তার ব্যবসার পরিধি বাড়তে থাকে। পাশাপাশি কাস্টমারের চাহিদাও বাড়তে থাকে। তিনি কাস্টমারের চাহিদানুযায়ী এখন বিদেশী ব্রান্ডের তিনটি প্রডাক্ট বেশী বেশী বিক্রি করছেন।
অনেকের মাথার চুল পড়ে যায়। আবার কারও কারও মুখের ত্বক অত্যন্ত রুক্ষ ও কালচে ভাব হয়ে থাকে। বিদেশী ব্রান্ডের কিছু ক্রীম ব্যবহারে এগুলো থেকে দারুন সমাধান পাওয়া যায়।
শারমীন এই প্রডাক্ট তিনটি দু’বছর ধরে বিক্রি করে যেমন হয়েছেন লাখপতি তেমনই প্রশংসা পেয়েছেন অসংখ্য ক্রেতার।
এই ছিলআমাদের আজকের নারী উদ্যেক্তা আলমডাঙ্গার বন্দরভিটা গ্রামের শারমীনের গল্প।