করোনায় নারীরা বেশি আক্রান্ত কেন হচ্ছে?

মহামারীর দেড় বছরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে যত পুরুষ মারা গেছে, নারী মারা গেছে তার অর্ধেকেরও কম। মোট সংখ্যার হিসেবে নারীর মৃত্যু কম হলেও ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিস্তারের পর এই অগাস্ট মাসেই ব্যতিক্রম দেখা গেল।
গত ১২ অগাস্ট প্রথম দেখা গেল দৈনিক মৃত্যুর খাতায় নারীর সংখ্যা বেশি। ওই দিন ১০৮ জন নারীর মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, পুরুষ মারা গিয়েছিল ১০৭ জন।
দ্বিতীয়বার এমন ঘটনা দেখা যায় ১৯ অগাস্ট, সেদিন ৮৩ জন নারী আর ৭৬ জন পুরুষের মৃত্যু হয়।
গত সোমবার আবার দৈনিক মৃত্যুতে পুরুষকে ছাড়িয়ে যায় নারী। সেদিন ৬৪ জন নারীর মৃত্যুর বিপরীতে ৫৩ জন পুরুষ মারা যায়।
এর একদিন বাদেও দেখা গেল একই চিত্র। মঙ্গলবার দেশে যে ১১৪ জন কোভিড আক্রান্ত হয়ে মারা যায়, তার ৫৮ জনই নারী, পুরুষ ৫৬ জন।
স্বাস্থ্য বিভাগের পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত এপ্রিল থেকে নারীর মৃত্যু বাড়ছে।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের ঠিক এক বছর পর গত ১ এপ্রিল পর্যন্ত মারা যাওয়া মানুষের মধ্যে পুরুষ ছিল ৭৫ দশমিক ২০ শতাংশ, নারী ছিল ২৪ দশমিক ৮০ শতাংশ।
এরপর মে, জুন, জুলাইয়ে এসে নারী-পুরুষের ব্যবধান ক্রমান্বয়ে কমছে। জুলাইয়ে নারীর মৃত্যুর হার বেড়ে ২৯ শতাংশে উঠে যায়। অগাস্টের প্রথম সপ্তাহে তা ৩৩ শতাংশ ছাড়ায়।
এরপর গত দুই সপ্তাহে মৃত্যুর ক্ষেত্রে লিঙ্গভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ১১ থেকে ২৪ অগাস্ট পর্যন্ত এক হাজার ৯০ জন নারী এবং এক হাজার ২৬২ জন পুরুষ করোনাভাইরাসে মারা গেছেন।
শতকরা হিসাবে এই দুই সপ্তাহে নারীর মৃত্যুর হার ৪৬ দশমিক ৩৪ শতাংশ। অথচ সামগ্রিক মৃত্যুহারে নারী ৩৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ, পুরুষ ৬৫ দশমিক ২৫ শতাংশ।
: